আজ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সফটওয়্যার প্রদর্শন হবে ইউজিসিতে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এবার গুচ্ছপদ্ধতিতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা নিতে ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সম্মতি জানিয়েছেন। সেই সফটওয়্যারটি চূড়ান্ত করতে আজ মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ছয়জন বিশেষজ্ঞ নিয়ে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তাবিত সফটওয়্যার নিয়ে আজ বৈঠকে বসবেন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহসহ সকল সদস্যরা। সফটওয়্যারটি প্রদর্শন করবেন এর প্রস্তাবক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের অনুরোধে এই বৈঠকটি ডাকা হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর সমিতির সভায় অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া এবং এতে সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রস্তাব আসে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এটি সমর্থন করেন। পাশাপাশি এটি ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে অর্থ তহবিল চাওয়ার প্রস্তাবও আসে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাৎক্ষণিকভাবে এর পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূরের উদ্ভাবিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে এবার ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কেননা এই ধরনের সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। তবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই কম। মাত্র ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী সেই সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়েছেন। তবে আমাদের দেশের ভর্তি পরীক্ষায় লাখ লাখ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। সেখানে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া অসম্ভব।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউজিসি সদস্য ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের পক্ষ থেকে যে সফটওয়্যারের কথা বলা হয়েছে তা যাচাইয়ে আজ সভা ডাকা হয়েছে। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। আজকের সভায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তিনি আরও বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা সম্ভব হবে না বলেই আমার ধারণা। আমার মনে হচ্ছে এবার অনলাইনে নয়, সরাসরিই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে