৯ম পে কমিশন গঠনের মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়েছে ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
২৯ অক্টোবরের মধ্যে দাবি না মানলে আগামী ৩০ অক্টোবর ৬৪ জেলার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, ১ নভেম্বর সকল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি দেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলন থেকে ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী সভাপতি কাজী ফাহাদুর রহমান রাজু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ১১-২০ গ্রেডের লাখ লাখ কর্মচারীকে বাদ দিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব না। তাই আমাদের এই দাবি মেনে নেয়ার জন্য বারবার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলন থেকে যে ৮ দফা দাবি করা হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করা; সকল পদে পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করা; টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখা; সচিবালয়ের ন্যায় পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করা; সকল ভাতা বাজার চাহিদা অনুযায়ী পুনঃনির্ধারণ করা; নিম্ন বেতন ভোগীদের জন্য রেশন ও বিদ্যমান পেনশনের হার ৯০ শতাংশের পরিবর্তে ১০০ শতাংশ পুনঃনির্ধারণসহ পেনশন গ্রাচুইটির হার ১ টাকা সমান ৫০০ টাকা করা এবং কাজের ধরন অনুযায়ী পদের নাম ও গ্রেড একিভূত করা।