দেশের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের অল্পতেই শিখে নেয়ার দক্ষতা আছে। তরুণরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভাষা শিখে নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে এবং নিজের পায়ে দাঁড়াবে। নিজেই নিজের বস হবে এবং কাজ করবে। তারা আত্মমর্যাদা নিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে চলবে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাতে আইসিটি খাতের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সারের ডিজিটাল আইডি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের কোনো স্বীকৃতি না থাকায় এতদিন তাদের নানামুখী সমস্যায় পড়তে হতো। ফ্রিল্যান্সার এটাও একটা কাজ এবং এক ধরনের চাকরি। কেবল পার্থক্য হচ্ছে, তারা নিজেই নিজের বস এবং অন্যকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়ে তাদেরও বস হতে পারবে।
এটা ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক পরিচিতির পাশাপাশি ব্যাংক লোন পেতে সহায়তা করবে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, পাশাপাশি ক্ষমতায়নেও সহযোগিতা করবে। চাকরি খোঁজার ঝামেলা আর করতে হবে না এবং নিজেরাই কিছু করার সাহস পাবে। এমনকি গৃহিনীরাও ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। লেখাপড়া শিখে শুধু ঘরে বসে গৃহিনীর কাজ করা নয়। ফ্রিল্যান্সিং করেও অনেকে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পাবে। অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। এতে করে সন্তানরাও মাকে কাছে পাবে।
তিনি বলেন, আজকের এই উদ্যোগ সমাজে একটা স্বীকৃতি ও সম্মান আসবে, অর্থ উপার্জন করতে পারবে এবং আমাদের অর্থনীতিতেও বিরাট অবদান রাখবে। ছেলে-মেয়েরা বিদেশে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে রেমিট্যান্স। এখন এটাও এক ধরনের রেমিট্যান্স হওয়ায় আমরা জানতে পারবো, কারা কত অর্থ উপার্জন করলো। সম্পূর্ণ টাকা তারাই নিবে। আমরা শুধু হিসাবটা পাবো। বাংলাদেশ এগিয়েছে, এগিয়ে যাবে এবং তরুণরা এক্ষেত্রে সমাজে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে।
এ সময় নিজের ছেলে ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জয়কে শুরু থেকে বলেছি এটা করতে হবে, কিভাবে করতে হবে তুমি বল এবং সেভাবে পরামর্শ দাও। তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েই বলতে গেলে আমি কম্পিউটার শিখেছি।