কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় আরও দুই হাজার চিকিৎসক নেয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে এদের নিয়োগ দেয়া হবে। করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে পদায়ন করা হবে।
তাদের দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করতে বিশেষ বিসিএস আয়োজনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। তারা যেন দ্রুত এই নিয়োগের ব্যবস্থা করতে সরকারি কর্মকমিশনকে (পিএসসি) প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়- এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রয়োজনে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পরে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদনসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এ বিষয়ে ২৯ জুন জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আরও চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেবে সরকার। আমরা আরও দুই হাজার চিকিৎসকের পদ সৃষ্টি করেছি এবং চার হাজার নার্স নিয়োগ দিচ্ছি শিগগিরই।’
জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সঠিক চিকিৎসা দিতে অল্প সময়ের মধ্যে ২ হাজার ডাক্তার ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি।
আরও দুই হাজার চিকিৎসকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা ৪ হাজার নার্স নিয়োগ দেব। সেই নির্দেশ আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ইতোমধ্যে দিয়েছি। শিগগিরই এই নিয়োগ দেয়া হবে।’
জনপ্রশাসনে পাঠানো স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওই চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি মার্কেটকে আইসোলেশন সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছে।
সারা দেশে এ রোগের চিকিৎসা প্রদান করতে পারে এমন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিককে একটি ম্যাপিং করা হচ্ছে। এসব হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর চিকিৎসক ও নার্স প্রয়োজন হবে।
কিন্তু দেশের বিদ্যমান স্বল্পসংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে করোনাভাইরাসের মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এ প্রেক্ষাপটে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা দিতে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি প্রস্তাবে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। এসব চিকিৎসক নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রয়োজনে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদন পরে নিলেও হবে।
নিয়োগপ্রাপ্তদের করোনা চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে পদায়ন করা হবে। পরে যেসব সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে সেখানে পদায়ন করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।