তীব্র সেশনজট নিরসন, ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা দূরীকরণসহ নানা সমস্যার সমাধানে ছয় দফা দাবিতে আবারো মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আগামী বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্বিতীয় দফায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি করবেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ছয় দফা দাবিতে তাদের এই মানববন্ধন। দাবিগুলো হলো- ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ২.০০/২.২৫/২.৫০ পয়েন্টে পরবর্তী বর্ষে প্রমোটেড নিয়ম বাতিল করতে হবে এবং সর্বনিম্ন তিন বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্য দের প্রমোটেড দিতে হবে; অনার্স ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় বর্ষের ইম্প্রুভ পরীক্ষা আগামী ১ মাসের মধ্যে নিতে হবে এবং তৃতীয় বর্ষের চুড়ান্ত পরীক্ষা অতি দ্রুত নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে; ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা অতিদ্রুত নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে; সকল বর্ষের ফলাফল সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। একটি সেশনে একের অধিক বর্ষের শিক্ষার্থী রাখা যাবে না; ডিগ্রি ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের চলমান বিশেষ পরীক্ষা অতি দ্রুত নিয়ে এক মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত করতে হবে এবং সকল ইম্প্রুভ পরীক্ষা অতি দ্রুত নিতে হবে এবং ডিগ্রি অনার্স, মাস্টার্স-সহ সকল বর্ষের ফলাফল গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণসহ খাতা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
ইতিপূর্বে আরো একবার ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেও কোনো কার্যকরী ফলাফল না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা পুনরায় মানববন্ধন এবং আন্দোলনের কথা চিন্তা করেছে বলে জানান সরকারি তিতুমীর কলেজের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের পড়াশোনার গতিশীলতা বজায় থাকুক। সেশনজট এখন আমাদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। এক সেশনেই দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস যাবত আটকে আছি! পরীক্ষার কোন নাম গন্ধও নেই।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে কলেজের ব্যাপার, আর কলেজ বলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপার। প্রশাসনের এমন দ্বীমুখী আচরণে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা খুবই হতাশ। তাই এসব বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করবো।’
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুস শাহাদাত সাকিব বলেন, ‘সরকারি এই সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভূক্ত করার পর থেকে ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থীর। নানান অনিয়মের অভিযোগ করে আমরা সমাধান চেয়ে বার বার রাস্তায় নেমেছি। কিন্তু কার্যকরি কোন সমাধান পাইনি। ঢাবির অধিভুক্তির পর থেকে তীব্র সেশনজট, ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা, ত্রুটিযুক্ত ফলাফল প্রকাশসহ নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে আমাদের। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।’