সেশন জটের কারণে পাস করতে করতেই চাকরির বয়স প্রায় শেষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত হয়ে নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছে রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঠিক সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়া, পরীক্ষা হলেও দেরিতে ফলাফল প্রকাশ করাসহ নানা সমস্যায় অনিশ্চিত জীবনে পড়ার শঙ্কায় দিন পার করছেন তারা। সেশন জটের কারণে পাস করতে করতেই চাকরির বয়স প্রায় শেষ হয়ে আসবে বলে আশঙ্কা অনেকের। শুধু করোনা পরিস্থিতির জন্য নয়, করোনার আগে থেকে এ সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হয়ে আসছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

ঠিক সময়ে পরীক্ষা না হওয়ার অভিযোগ অধিভুক্ত হওয়ার শুরু থেকেই ছিল। এ নিয়ে একাধিকবার আন্দোলনও করেছিল তারা। ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলছেন, সময় মতো পরীক্ষা না হওয়া এবং ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় দীর্ঘ সময় সেশনজটে পড়েছে তারা। প্রয়োজনে অধিভুক্তি বাতিলের দাবিও জানান ভুক্তভোগীরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে, সবগুলোতেই গণহারে ফেল আসছে তাদের। সব মিলিয়ে ৭ কলেজের সেশনজট শিক্ষার্থীদের জীবনকে অনিশ্চিত করে তুলছে। এর দায়ভার কে নেবে?

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো সেশনজটে পড়বে, এটা সত্য। কিন্তু সেশনজট মুক্ত করতে না পারলেও কিভাবে এটিকে সহনশীল পর্যায়ে রাখা যায়, সে দিকটিই ভাবছেন তারা।

অনেকে দাবি জানাচ্ছেন, প্রয়োজনে তারা অধিভুক্তি বাতিল চান তবুও সেশনজটে পড়তে চান না। সমাধান হিসেবে শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার সিস্টেম চালুরও দাবি জানান।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজেও সেশনজটের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটাকে সহনশীল করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পথ খুঁজছে এবং অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করবে কর্তৃপক্ষ।

 

About Sanjida Sultana 2205 Articles
Hi, I am Sanjida Sultana. I am the founder of this site. I regularly update all kind of job information of Bangladesh. I like to update all the latest job information regularly from daily newspaper and online job posting site.