সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের আবেদনে ভুল সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। আবেদন ফি পরিশোধ করা প্রার্থীদের আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভুল তথ্য সংশোধন করা হবে বলে ডিপিই থেকে জানা গেছে।
জানা গেছে, অনলাইনে আবেদন করার সময় একাডেমিক সার্টিফিকেট গ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত না থাকায় আবেদন সম্পন্ন না হওয়া, জেন্ডার (লিঙ্গ) নির্বাচনে ভুলসহ বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হয়েছেন আবেদনকারীরা। বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে আবেদনে ভুল সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিপিই।
এ বিষয়ে ডিপিইর সহকারী পরিচালক নিয়োগ হিসেবে কর্মরত সিনিয়র সহকারী সচিব আতিক এস বি সাত্তার বলেন, অনেক আবেদনে ভুলত্রুটি হচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে এসব অভিযোগ আসছে। আবেদনের ভুল সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শেষে ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব সংশোধন করা হবে। এর মধ্যে প্রার্থীর ও বাবা-মায়ের নাম, জেন্ডার, জন্মতারিখ, জিপিএ-সংক্রান্ত ভুল থাকলে তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড থেকে সংশোধন করে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বোর্ডে সংশোধন হলে আমাদের সার্ভারেও তা সংশোধন করা যাবে। এর বাইরে আবেদন ফি জমা দেওয়া প্রার্থীদের কোনো তথ্য লিখতে ভুল হলে সে জন্য কারেকশন অপশনে গিয়ে রিকোয়েস্ট দিলে তা সংশোধন করতে তাকে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে লিংক পাঠানো হবে। সংশোধন হওয়ার পর তাকে একটি এসএমএস দিয়ে নিশ্চিত করা হবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত সিনিয়র সহকারী সচিব আতিক এস বি সাত্তার বলেন, ২৫ অক্টোবর সকাল থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৯ লাখ ৬০ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
তথ্যমতে, প্রাথমিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৩০ বছর পূর্ণ হওয়া প্রার্থীরাও আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন। এতে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক মিলে সাড়ে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। শূন্য আসনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের প্রার্থীরা এতে আবেদন করতে পারবেন না।