ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এই অ্যাসাইনমেন্ট ছাড়া পরীক্ষা বা বাড়ির কাজের মতো অন্য কোনো উপায়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যাবে না।
১ নভেম্বর থেকে মাধ্যমিকের জন্য প্রণীত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এ দিন থেকেই শিক্ষার্থীরা এনসিটিবি কর্তৃক তৈরি করা পৃথক চারটি অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে অনলাইনে কিংবা সশরীরে এসে বিদ্যালয়ে জমা দেবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণীর জন্য ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। এটি আজ ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর করা হবে। একই সাথে শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে তা ক্লাস শিক্ষকদের কাছে জমা দিতে হবে।
সূত্রমতে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীরা যেখানে রয়েছে সেই এলাকার নিকটতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ এবং জমা দিতে পারবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নির্ধারিত সময়ে অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়বস্তু জানিয়ে দেবে। গত রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।
আটটি নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। এগুলো হলো
১. এনসিটিবি কর্তৃক নির্ধারিত ৩০ কর্মদিবসের সিলেবাস অনুসরণ করতে হবে। সিলেবাস ওয়েবসাইটে যথাসময় প্রকাশ করা হবে।
২. এনসিটিবি সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় নির্ধারিত সিলেবাস থেকে অ্যাসাইনমেন্টের (নির্ধারিত কাজ) জন্য বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেছে। বিষয়বস্তু অনুযায়ী প্রণীত অ্যাসাইনমেন্ট মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে প্রতি সপ্তাহে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে।
৩. অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান ও গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান শ্রেণিভিত্তিক কর্মসূচি নির্ধারণ এবং আলাদাভাবে প্রদান ও গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। এ ক্ষেত্রে অনলাইনের সাহায্যে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অ্যাসাইনমেন্ট প্রেরণ ও গ্রহণ করবেন।
৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অ্যাসাইনমেন্ট ব্যতীত মূল্যায়ন সংক্রান্ত অন্য কোনো কার্যক্রম (যেমন পরীক্ষা গ্রহণ, বাড়ির কাজ দেয়া ইত্যাদি) গ্রহণ করতে পারবেন না।
৫. অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের দুর্বল দিক চিহ্নিত করবেন এবং পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিয়ে কাক্সিক্ষত শিখন ফল অর্জনের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শিক্ষকদের মূল্যায়নসহ অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন।
৬. কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীরা নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ বা জমা প্রদান করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অভিভাবক বা শিক্ষার্থী তার নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন। ৭. এই কার্যক্রম ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে।
৮. নির্দেশনা বাস্তবায়নে সব আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সমন্বয় করবেন।