স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট প্যাকেজের সুবিধা দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (বিইআরএফ) আয়োজিত অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে পরিচালিত এক জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ব্যয় কিভাবে ব্যয় কমানো যায় সে বিষয়ে টেলিফোন কোম্পানিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতায় যাচ্ছে। টেলিটকের মাধ্যমেও একটা প্যাকেজ করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য তারা (টেলিফোন কোম্পানি) ব্যবস্থা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আমরা ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করছি। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কী করা যায় সেটা আমরা ভাবছি। কারণ এখানে কোটি কোটি শিক্ষার্থী।
ডা দীপু মনি বলেন, আমরা যদি ডিভাইসের কথা ভাবি তাহলে অসম্ভব রকম ব্যয় হবে। তবে সামগ্রিকভাবে শিক্ষার ব্যয় নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। সকল পর্যায়ের শিক্ষার ব্যয় নিয়ে আমরা সুচিন্তিত জায়গায় পৌঁছানোর আমাদের প্রয়োজন রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংকটের মধ্যেও আমরা পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পেরেছি, চালিয়ে যাচ্ছি, অবশ্যই এটি আমাদের কোনো আদর্শ পরিস্থিতি নয়। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তার মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি। এই চেষ্টাটি চালিয়ে যেতে হবে, এটিকে আরও কত ভালো করা যায়, কারণ করোনা কতদিনে যাবে, কতদিনে সত্যিকার অর্থে আমরা আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি খুলে দিতে পারবো, সে বিষয়গুলো কিন্তু এখনও বেশি অনিশ্চিত।
তিনি আরো বলেন, সামনেই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে, সেগুলো নিয়েও আমরা বিভিন্নভাবে ভাবছি যে কী করে তাদের পরীক্ষার আগে সিলেবাস পুরোপুরি শেষ করতে পারে, এসব নানান জিনিস আমরা ভাবছি।
অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে নগরভিত্তিক জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সভাপতি মোস্তফা মল্লিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার এস এম আববাস।
জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণশিক্ষা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক বক্তব্য রাখেন।