মারাত্মক সেশন জটে আটকা পড়তে পারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। করোনা প্রার্দুভাবে বর্তমানে অনার্স ৪র্থ বর্ষ, এল এল বি ১ম পর্ব, মার্স্টাস সহ প্রফেশনাল কোর্সের পরীক্ষা স্থগিত আছে এছাড়া অনার্স/ ডিগ্রী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে বিঘ্ন হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বর্তমানে সেশন জট ছাড়াই অনার্স/ ডিগ্রী সহ সকল পরীক্ষা/ ফলাফল/ রুটিন সহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদিত হয়ে আসছিল কিন্ত বর্তমানে করোনা প্রার্দুভাবে এবার বিঘ্ন ঘটবে বলে আশংকা করছে শিক্ষার্থী সহ অবিভাবকরা। The National University may be stuck in session clutter.
করোনাভাইরাসের কারণে ইতিমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস বন্ধ সংক্রান্ত নোটিশ প্রকাশ করেছে। এনইউ এর ওয়েবসাইটে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রােধে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস আগামী ৩০ জুন ২০২০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ ছিল তবে বর্তমানে এনইউ এর সকল কার্যক্রম সাময়িকভাবে চালু রয়েছে এবং সকল পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আছে এখনো ,এছাড়া পরীক্ষার ফরম ফিলাপ কার্যক্রম ও স্থগিত রয়েছে এসব কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে জানা গেছে
গত ২৭ আগষ্ট থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অনলাইন ক্লাস শুরু হলেও এর সুফল পাচ্ছে না অধিকাংশ শিক্ষার্থী ।অনেক শিক্ষার্থী জানে না কিভাবে এই অনলাইন ক্লাশে অংশ নিতে হয়, কোথায় এই সুবিধা পাওয়া যায় ইত্যাদি। এদিকে অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ৫ বিষয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার উপর নির্ভর করে ফল চেয়ে মানব বন্ধন করলে উপাচার্য ড, হারুন অর রশিদ জানান ,পরীক্ষা ছাড়া পাসের কোন সুযোগ নেই এবং কলেজ খুললে একের পর এক পরীক্ষা নেয়া হবে।
করোনার প্রভাবে বন্ধ হয়েছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিয়ে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য টিভিতে এবং অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। এদিকে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, কেবল টিভিতে ক্লাস নয়। করোনা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে ওলটপালট হয়ে যাবে শিক্ষার পূর্বনিধারিত অনেক কার্যক্রম। পিছিয়ে যাবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। জানা যায় ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে,
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, এখন পর্যন্ত ঘোষণা অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কিছু জটিলতা নিয়ে হলেওথেকে ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ নামে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে শ্রেণী পাঠদান কর্মসূচী চালাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর পরিচালিত এ কার্যক্রমে প্রথম থেকেই সুফল না পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে । মফস্বলের বহু এলাকায় চ্যানেলটি দেখতে না পাওয়ায়ও বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০ সিনিয়র শিক্ষকের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে তা সংসদ টেলিভিশনে প্রতিদিন সম্প্রচার করা হচ্ছে। এটুআই প্রকল্পের মাধ্যমে গত ২৫ মার্চ থেকে ভিডিও ধারণ করা হয়। প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য ভিডিও আকারে বর্ণ শেখা ও রিডিং পড়া শেখানো হবে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সিলেবাস অনুযায়ী শিক্ষকদের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে ক্লাস নেয়া ও বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর শিখতে হোম ওয়ার্ক (বাসার কাজ) দেয়া হবে। পরদিন শিক্ষার্থীদের হোম ওয়ার্ক সঠিক করে দেবে শিক্ষকরা।
অন্যদিকে বড় ধরনের জটিলতার মুখে পড়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষা বোর্ডগুলোতে কথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই জটিলতার পরেছে আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কার্যক্রম। কারণ সারাদেশে খাতা বিতরণসহ এ সংক্রান্ত কাজ আটকে গেছে। ফলে সাভাবিকভাবেই পিছিয়ে যাবে এিচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়ার কার্যক্রম।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলছিলেন, বাস্তবতা হচ্ছে যদি কোনভাবেই পরিস্থিতির উন্নতি না হয় যদি নভেম্বর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা না যায় তবে বেশ কিছু পূর্ব নির্ধারিত কার্যক্রম পিছিয়ে যাবে। যেমন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ঘোষিত সময়ে নেয়া যাবে না। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়ার কাজ পেছাতে হবে। এর ফলে পেছাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রমও।
তিনি আরও বলেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাতো এমনিতেই স্থগিত করতে হয়েছে। এ পরীক্ষা শুরুর কাজও পিছিয়ে যাবে। কারণ ক্লাস শুরু হলে অন্তত এক সপ্তাহ এ পরীক্ষা নিয়ে আমাদের কাজ করে সময়সূচী তৈরি করতে হবে। তাই ক্লাস শুরুতে দেরি হলে আরও অনেক কিছই পিছিয়ে যাবে। তবে এখনও এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আসেনি। আগে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হোক।