সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের আবেদন (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা https://dpe.teletalk.com.bd/application/511/ অনলাইনে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রাথমিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ৩০ বছর পূর্ণ হওয়া প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে এ বছর ২৫ মার্চ যাদের ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে, সরকারি চাকরিতে তাদের আবেদনের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ নিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপনের আলোকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বছরের ২০ অক্টোবরে বয়স সর্বনিম্ন ২১ বৎসর এবং ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৫ মার্চে ৩২ বছর।
সম্প্রতি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে অনির্দিষ্ট সংখ্যক জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) অধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা বাদে দেশের বাকি সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তিতে কত পদ তা উল্লেখ না থাকলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এর মধ্যে প্রাক প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্যপদে ৬ হাজার ৯৪৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
সহকারী শিক্ষকদের বেতন হবে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ এর গ্রেড ১৩ অনুযায়ী ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা।
২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মুজিব বর্ষে সব শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সম্ভব হয়নি। তবে গত সেপ্টেম্বরে নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অক্টোবরে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সার্কুলারটি এডুকেশন্স ইন বিডি তেও পাওয়া যাচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগের পর গত সেপ্টেম্বরে কোটামুক্ত রেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রাথমিকের শিক্ষক পদটি ১৩ তম গ্রেড হয়েছে।