ডিসেম্বর মাসে এইচএসসি পরীক্ষা নিতে চায় শিক্ষা বোর্ড । দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় ছয় মাস ধরে ঝুঁলে আছে এইচএসসি ও সমমানের চূড়ান্ত পরীক্ষা। এইচএসসি পরীক্ষা কবে নাগাদ হতে পারে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও করোনার প্রকোপ কিছুটা কমায় এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এই পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে আটকে আছে উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএসসি পরীক্ষা। তবে এই পরীক্ষা দ্রুত নেয়া না হলে অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষাও আনুপাতিক হারে পেছাতে হবে। দীর্ঘ মাত্রায় দেখা দিতে পারে উচ্চশিক্ষায় সেশনজট। এজন্য শিক্ষা বোর্ডগুলো চায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললেও এ বছরের মধ্যেই এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করতে। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরো কিছুটা স্বাভাবিক হলে আগামী নভেম্বরেই এই পরীক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই পরিস্থিতির মধ্যে প্রথম কোনো সরাসরি সভা করছে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানরা অর্থাৎ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর আন্ত শিক্ষা বোর্ডের সভা ডাকা হয়েছে। যেখানে মূল আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে পরিকল্পনা এবং জেএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন। যেহেতু এবার জেএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না তাই কিভাবে এসব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে উন্নীত হবে, সে ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
আন্ত শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা এখনো আগের অবস্থানেই আছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার অন্তত ১৫ দিন পরে এই পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। তবে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।’
তিনি বলেন, যেকোনো পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য আমরা প্রস্তুত। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিক-নির্দেশনার অপেক্ষা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, কেন্দ্রের সংখ্যাও কয়েক গুণ বাড়ানো হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের ঢোকানো হবে এবং বের করা হবে। কোনো কেন্দ্রে যাতে ৫০০-এর বেশি শিক্ষার্থীকে বসাতে না হয়, সে ব্যাপারেও পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরীক্ষা নেয়ার জন্য নানা ব্যবস্থা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এর আগে ‘জেড’ আকৃতিতে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা করা হলেও সেখান থেকে সরে এসেছে বোর্ডগুলো। এবার প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।