চলতি বছরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা গ্রহণ হচ্ছে না। স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে নবম শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা-এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষরিত এক পত্রে একথা জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে করনীয় সম্পর্কে প্রতিষ্ঠান প্রধানগণকে পরবর্তীতে নির্দেশনা দেয়া হবে মর্মেও পত্রে জানানো হয়েছে।
চলতি বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না নিতে গত ২০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৭ আগস্ট চলতি বছরের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায়।
ওইদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে কী ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না নিয়ে স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে নবম শ্রেণিতে উন্নীত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যাদের চিঠি দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
এরপর না করে স্কুলে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরও আগে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না নিয়ে স্কুলে স্কুলে মূল্যায়নের জন্য প্রস্তাবে অনুমোদন চেয়ে গত ১৯ আগস্ট সার-সংক্ষেপ পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২৫ আগস্ট তাতে সম্মতি এলে পঞ্চমের দুই সমাপনী এ বছরের জন্য বাতিল করে স্কুলে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।
মহামারির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা স্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটিও বাড়ানো হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ আগস্ট থেকে ছুটি বাড়িয়ে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। তবে গত ২৪ আগস্ট কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।