শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুলে যদি এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়, তাহলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও একই পথে হাঁটবে। কলেজে পাঠদান বন্ধ থাকলেও এইচএসসি পরীক্ষার আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাও নেওয়া হবে। এটাও জট কমানোর একটি উত্তম পথ বলে মনে করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বদরুজ্জামান বলেন, আমরা কলেজ খোলার অপেক্ষায় আছি। কলেজ চালু হলেই স্থগিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। নতুন সূচিও দেওয়া হবে। একই দিনে একাধিক বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষা জট কমিয়ে ফেলার চিন্তা রয়েছে বলে তিনি জানান।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের মতে, যেহেতু এইচএসসি পরীক্ষার্থীর চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বয়সে বড়। তাই এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হলে সে আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হবে। তাছাড়া পরীক্ষা জট কমাতে ক্রাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিলে পরীক্ষা শুরু হবে। কবে এ পরীক্ষা আয়োজন করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ২৪ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড। সভায় উপস্থিত থাকতে সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানদের চিঠি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিলে পরীক্ষা শুরু করবো। পরীক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ২৪ সেপ্টেম্বর সব শিক্ষাবোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পর একটি প্রস্তাব তৈরি করবে।
জানা গেছে, আগষ্ট পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষ, মাস্টার্স ফাইনাল, মাস্টার্স প্রিলিমিনারি, অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে এসব পরীক্ষার সূচিও করা যায়নি। অনার্স চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা অর্ধেক হবার পর বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠান। আটকে আছে ৩য় বর্ষের ব্যবহারিক পরীক্ষাও। এছাড়াও বিভিন্ন প্রফেসনাল কোর্সের শতাধিক পরীক্ষা আটকে আছে।