অনার্স চতুর্থ বর্ষের অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়ার চেষ্টা চলছে । পাঁচটি বিষয়ের উপর হয়ে যাওয়া পরীক্ষার ভিত্তিতে রেজাল্ট প্রকাশ করতে রাজি নয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, ছাত্র-ছাত্রীরা যে দাবি জানাচ্ছে সেটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। কেননা অনার্স ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষায় ভাইভার বিষয় জড়িত। হয়ে যাওয়া পরীক্ষার উপর ফলাফল দেয়া হলে সেটি শিক্ষার্থীদের জন্যই ক্ষতি বয়ে আনবে। কেননা এই সার্টিফিকেট দিয়ে তারা চাকরির বাজারে আবেদন করতে পারবেন না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের অবশিষ্ট পরীক্ষা ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজনের চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত একটি সফটওয়্যার ব্যবহারের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে পরীক্ষা আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশিনের (ইউজিসি) কাছে চিঠি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি অনুমোদন দিলে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাতে বলেন, শিক্ষার্থীরা যে দাবি করছে সেটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। পাঁচটি বিষয়ের উপর রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে না। এটি করলে শিক্ষার্থীরা সেই সার্টিফিকেট দিয়ে কিছুই করতে পারবে না। এই সার্টিফিকেট নিলে তারাই বিপাকে পড়বে। আমরা বিকল্প উপায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বাকি থাকা পরীক্ষা শেষ করার বিষয়ে আলোচনা করছি।
তিনি আরও বলেন, ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র-ছাত্রীদের অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো ভার্চুয়াল মাধ্যমে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত সফটওয়্যারে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে ইউজিসিতে চিঠি দেয়া হয়েছে। ইউজিসি এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে অনলাইনে পরীক্ষা নিয়ে নেয়া হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের আরো ধৈর্যের পরিচয় দেয়ার আহবান জানান তিনি।
চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে বলেন, সফটওয়্যার ব্যবহার করে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে আলোচনা করতে উপাচার্যদের পক্ষ থেকে ইউজিনির চেয়অরম্যান স্যার বরাবরা একটি চিঠি তেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও উপাচার্যদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ দিকে দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা স্থগিত থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, করোনার মধ্যে এসএসসি পরীক্ষা রেজাল্ট দেয়া হয়েছে। বড় বড় পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করে শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে। অথচ সার্টিফিকেটের অপেক্ষায় থাকা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক লাখ পরীক্ষার্থীকে করোনার দোহায় দিয়ে কালক্ষেপন করা হচ্ছে।