করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে খুলে দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম হোসেন।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আকরাম হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে পিইসি ও ইইসি পরীক্ষা বাতিলে সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সম্মতি দিয়ে সেটি আজ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা বাতিলে চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠায় মন্ত্রণালয় । এতে এই দুই পরীক্ষার পরিবর্তে স্কুল ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষা বাতিল করা হলে এ বছরের জন্য মেধাবৃত্তিও না দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো প্রস্তাবে মন্ত্রণালয় বলেছে, ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৭১টি কর্মদিবস নষ্ট হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের ৪০৬টি বিষয়ভিত্তিক পাঠদান ক্ষতিগ্রস্ত। ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত সিলেবাসের মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পড়ানো সম্ভব হয়েছে। পাঠ্যবইয়ের অবশিষ্ট অংশ শেষ করতে কমপক্ষে ৫০ কর্মদিবস দরকার। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে পাঠদান কার্যক্রম চালানো সম্ভব হলেও ৫০ কর্মদিবস পাওয়া যাবে না।
পছন্দের এলাকায় পার্টটাইম/ফুলটাইম চাকরি খুঁজে পেতে এই অ্যাপটি ইন্সটল করেএখনই আবেদন করুন
এতে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাসের বিদ্যমান প্রাদুর্ভাবে সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি। খুলে দেয়া হলে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে নাও পাঠাতে পারেন। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর ভাইরাস পরিস্থিতিতে পুনরায় বন্ধ করে দিতে হয়েছে। অন্যদিকে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর টেলিভিশনে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সমীক্ষায় দেখা গেছে, মাত্র ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী টেলিভিশন পাঠদানের সুযোগটি গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি বেতারে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে ৯৭ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাঠদানের আওতায় আসতে পারে। এছাড়া ৭৬ শতাংশ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে লেখাপড়ার বিষয়ে কথা বলতে পেরেছে।
এদিকে স্কুল-কলেজে আরও ছুটি বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় বর্তমান ছুটি শেষে এটি আরও বাড়ানো হতে পারে। নতুন করে আরও ১৫ দিন ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।