এক দিন অর্ধেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাবে, বাকি অর্ধেক অন্য দিন

করোনা-পরবর্তী সময়ে যখন প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলবে তখন এক দিন অর্ধেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাবে, বাকি অর্ধেক যাবে অন্য দিন। এভাবে এক দিন পর এক দিন স্কুলে যাবে শিক্ষার্থীরা। স্কুলে প্রবেশের আগে সাবান-পানি দিয়ে শিক্ষার্থীদের হাত ধুতে হবে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আর শিক্ষার্থীসহ সবার তাপমাত্রা মেপে স্কুলে ঢুকতে হবে। এসব নানা প্রস্তাব রেখেই কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার গাইডলাইন তৈরি করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘করোনা-পরবর্তী সময়ে স্কুল কিভাবে চলবে সে ব্যাপারে আমরা একটি গাইডলাইন তৈরি করছি। এ বিষয়ে আমাদের কাজ শেষের পথে। দু-এক দিনের মধ্যেই এটা নীতিমালা আকারে জারি করা হবে।’ 

তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে সচিব বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ মঙ্গলবার এই গাইডলাইন নিয়ে বৈঠক হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন এই গাইডলাইন মনিটরিং করবে। বিদ্যালয়ে অবস্থানকালে করণীয় ছাড়াও মাস্ক কিভাবে পরতে হবে, হাত কিভাবে ধুতে হবে, স্যানিটাইজার কিভাবে ব্যবহার করতে হবে- এগুলোর ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়াসহ টিভি-পত্রিকায় প্রচার করা হবে। শিশু শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার আগে, খোলা অবস্থায় নিরাপত্তা ও পাঠদান সময়ে শিক্ষার্থীদেরে উপসর্গ বা আক্রান্ত হলে করণীয় কী- এসব উঠে এসেছে সেই গাইডলাইনে।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কোনো কোনো বিদ্যালয় অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা হতে পারে। ১৫ দিন আগে খুলে দেওয়া হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য, যাতে তারা প্রয়োজনীয় অবকাঠামো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারেন। শিক্ষার্থীরা মাস্ক নিজের ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে। তবে হাত ধোয়ার বিষয়টি স্কুল দেখবে।

পছন্দের এলাকায় পার্টটাইম/ফুলটাইম চাকরি খুঁজে পেতে এই অ্যাপটি ইন্সটল করেএখনই আবেদন করুন

এ ছাড়া প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ পরিষ্কার করতে হবে। যেসব স্কুলে টিউবওয়েল বা পানির ব্যবস্থা নেই, সেখানে সেই ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছ। স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা না করতে পারলে ক্ষণস্থায়ীভাবে ড্রাম বসাতে হবে। আর এসব ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতিটি স্কুলকে বার্ষিক যে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়, সেখান থেকে ব্যয় করতে হবে।

 

About Sanjida Sultana 2170 Articles
Hi, I am Sanjida Sultana. I am the founder of this site. I regularly update all kind of job information of Bangladesh. I like to update all the latest job information regularly from daily newspaper and online job posting site.